সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে স্কুল ভবন নদীগর্ভে 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৩, ২৩:৩৫ | আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৩, ২৩:৪০

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে খিদ্রচাপরী সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে ওই স্কুলেল দুটি কক্ষ যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ভাঙ্গনে খিদ্রচাপরীসহ বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গাজমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই উপজেলার মেহেরনগর থেকে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর স্পার বাঁধ পর্যন্ত যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হয়। 

এ উদ্বোধনের পর থেকেই প্রকল্পের কাজে গাফিলতি ও প্রকল্প এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে এ ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জিও ব্যাগ নিক্ষেপ বন্ধ রয়েছে। এতে ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ নয়ন সাংবাদিকদের জানান, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলে ১৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

প্রায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৮ সালে স্কুলের একাডেমিক ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই ওই ভবন ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে এবং ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। 

শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার মতো এখন আর কোন জায়গা নাই। ছুটি পরবর্তীতে স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীর কোথায় পাঠদান করাতে হবে সেটাই ভাবছি এখন। এদিকে যমুনায় পানি বাড়তে থাকায় যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী  (হেড কোয়ার্টার)  রনজিৎ কুমার বলেন, ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে পাহাড়ী ঢল ও প্রবল বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি থাকায় এ ভাঙ্গন রোধে বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে।  

বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, ভাঙ্গনে ওই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে অস্থায়ী স্থান নির্ধারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এ স্থানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

এবিএন/এস. এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/অসীম রায় 

এই বিভাগের আরো সংবাদ